আমাদের সম্পর্কে

আমাদের সম্পর্কে

ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন

পরিচিতি

ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন এটি একটি সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণামূলক অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

নাম ও নামকরণের তাৎপর্য

নাম ও নামকরণ

ইন্তিফাদা শব্দটি আরবী এর বাংলা হচ্ছে রেঁনেসা, জাগরণ, উত্থান, সংগ্রাম, প্রতিরোধ ইত্যাদি। তবে ইন্তেফাদা শব্দটি বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের অপর নাম হিসেবে পরিচিত। যেহেতু ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য কাজ করবে এবং জ্ঞান ও তাকওয়ার জাগরণের মাধ্যমে এ মুক্তি সম্ভব বলে বিশ্বাস করে তাই প্রাথমিকভাবে 'ইন্তিফাদা' হিসেবে পছন্দ করা হয়। অতঃপর তার সাথে আরো কয়েকটি  নাম প্রস্তাব করি তার মধ্যে 'ইন্তিফাদা' নামটি তে সমর্থন দেন হামাসের সাবেক প্রধান উস্তায খালিদ মিশাল। এভাবেই চূড়ান্ত ভাবে ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন হিসেবে নামকরণ করা হয়।

ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পেছনের গল্প

ফাউন্ডেশনের উৎপত্তি ও গঠন

ফিলিস্তিন ওলামা পরিষদের বাংলাদেশী কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে দেশে ফিলিস্তিন ও মসজিদে আকসার পক্ষে জনমত গঠনে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন উস্তায মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদ। এই সকল কার্যক্রমকে আরও সু সংগঠিত করে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে কাজ কারার দিক নির্দেশনা আসে ওলামা পরিষদ থেকে, এরই ধারবাহিকতায় বাংলাদেশে একটি প্লাটফর্ম তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এতে ওলামা পরিষদের প্রেসিডেন্ট শাইখুল হাদিস আল্লামা ড. নাওয়াফ তাকরুরী হাফিযাহুল্লাহ সকল বিষয়ে তদারকি করেন; অতঃপর ২০২২ সালের ১৫ ই আগষ্ট ইস্তানবুলের একটি আন্তর্জাতিক যুবসম্মেলনে 'ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন' এর উদ্বোধনী প্রোগ্রামের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে, যে সম্মেলনে ৪০ টি দেশের ৩০০+ ডেলিগেট ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি ছিল।

নীতি ও আদর্শ

নীতি ও আদর্শ

  • পবিত্র কুরআন ও আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহ তথা কর্মনীতিই ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশনের মূল আদর্শ।

  • কুরআন-সুন্নাহকে সালাফে সালিহীনের ব্যাখ্যার আলোকে গ্রহণ করা।

  • কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ চেস্টা করা।

  • উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির জন্যে কাজ করা।

  • রাজনৈতিক কর্ম ও অবস্থান গ্রহণ থেকে বিরত থাকা এবং দলমত নির্বিশেষে মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করে যাওয়া।

আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

  • (ক) মুসলমানদের ঈমান ও আকিদার মৌলিক একটি সাইন তথা মসজিদে আকসার পবিত্রতা রক্ষার ও ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামে বাংলাদেশে জনমত গঠন।

  • (খ) বাংলাদেশের নাগরিকদের শিক্ষা ও সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন ও আদর্শ নাগরিক তৈরি।

  • (গ) যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে জরুরী চিকিৎসা সামগ্রী, খাদ্য, বস্ত্রসহ যাবতীয় সহায়তা প্রেরণ।

  • (ঘ) বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের মননে 'তাকওয়ার ইন্তিফাদা' (জাগরণ) তৈরি।

তহবিল ও আয়ের এর উৎসঃ

তহবিল ও আয়

  • সদস্য, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়মিত অনুদান।

  • জনসাধারণ কর্তৃক বিশেষ কোনো খাতে প্রদত্ত অনুদান।

  • সচ্ছল মুসলিমদের প্রদেয় যাকাত, ফিতরা।

ব্যয়ের নীতিমালাঃ

  • দাতাগণ যে খাতের জন্য দান করে থাকেন, সে খাতেই ব্যায় করা হয়।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ফাউন্ডেশন যেসব কাজ করেছে, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

অর্জনসমূহ

  • মুজাহীদ ভাইদের জন্য প্রজেক্টঃ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে গাজ্জায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৯ ই অক্টোবর ফিলিস্তিন ওলামা পরিষদের নির্দেশে আমরা মুজাহীদ ভাইদের জন্য কালেকশন এর ঘোষণা দেই এবং ১৫ ই অক্টোবর আমরা প্রথম ধাপে মুজাহীদ ভাইদের কাছে আমানত হস্তান্তর করি এবং ২৭ এ অক্টোবর ২০২৩ দ্বিতীয় ধাপের আমানত হস্তান্তর করি, এভাবে করে প্রতি মাসে ১ কিংবা ২বার করে ধারাবাহিক ভাবে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুজাহীদ ভাইদেরকে আপনাদের আমানত পৌঁছে দিচ্ছি এবং যতদিন কুদস মুক্তির এ সংগ্রাম চলমান থাকবে ততদিন আমাদের এ প্রজেক্ট চলবে ইংশাআল্লাহ।

  • খাদ্য সামগ্রী বিতরণঃ গাজ্জায় মানবিক সেবামূলক কাজ হিসেবে আমরা গাজ্জায় খাদ্য, শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ এমন ৩০+ প্রজেক্ট গাজ্জার নিরস্ত্র মানুষদের জন্য করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।

  • এতিমদের প্রজেক্টঃ গাজ্জায় ফিলিস্তিন ওলামা পরিষদের তত্বাবধায়নে থাকা ১৪১ জন শিশুদের (যাদের পরিবারের সকলেই শহীদ ওই শিশুই একমাত্র জীবিত) জন্য খাবার এবং নগদ অর্থ এবং ২০২৫ এর রমজানের ঈদ উপলক্ষ্যে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পোশাক সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

  • নগদ অর্থ বিতরণঃ গাজ্জায় মানবিক ত্রাণের পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসারত অসুস্থ মানুষদের নগদ অর্থ বিতরণের ২টি প্রজেক্ট করা হয়েছে। শীতবস্ত্র বিতরণঃ ২০২৪ এবং ২০২৫ এ শীতকালীন সময়ে গাজ্জায় সাধারণ মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

  • কুরবানি প্রজেক্টঃ ২০২৪ এবং ২০২৫ এর কুরবানীর ঈদে গাজ্জার সাধারণ মানুষের মধ্যে ২০২৪ সালে ২ বড় গরু এবং ৩ ভেড়া কুরবানী করে বিতরণ করা হয়েছে এবং ২০২৫ এ ৩ টি বড় গরু কুরবানী করে বিতরণ করা হয়েছে।

  • মসজিদ নির্মান প্রজেক্টঃ গাজ্জায় মসজিদ নির্মাণ প্রজেক্ট (এখন চলমান নেই) ২০২৪ সালের শুরুর দিকে ৩টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিলো।

  • নলকূপ স্থাপনঃ গাজ্জায় সুপেয় পানির জন্য ওলামা পরিষদের সাথে যৌথভাবে নলকূপ স্থাপন করার কাজ হাতে নেয় হয়েছিলো কিন্তু কাজ চলাকালীন অবস্থায় ইজরায়েলি হামলাম ৭জন ভলান্টিয়ার শহীদ হওয়ায় নলকূপ খননের কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি।

  • বন্যায় ত্রাণ বিতরণঃ জুলাই পরবর্তী ২০২৪ এর ফেনীতে বন্যা কবলিত ফেনীতে ২টি কুমিল্লায় ২টি এবং লক্ষীপুর ২টি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো।

  • কুদস সপ্তাহ বাস্তবায়নঃ এসন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইজরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তন ও মসজিদে আকসার জবর দখলের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ও ফিলিস্তিনি জনগনের অধিকার পুনরুদ্ধারের সাথে একাত্মতা প্রকাশে ফিলিস্তিন ওলামা পরিষদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২১ সাল থেকে কুদস সপ্তাহ পালন করে আসছি।

স্বেচ্ছাসেবক হোন

আমাদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চান? আমাদের সাথে যোগ দিন এবং সমাজে পরিবর্তন আনুন।

যোগাযোগ করুন

আপনার কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ আছে? আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।